অবশেষে আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। অনুমতি পাওয়ার পর চারদিনে ভারত থেকে দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ। গতকাল বৃহস্পতিবার ৮ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সোমবার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে এসেছে ১৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ। আর চারদিনে ৫ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় সোমবার ৫ জুন থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে বলে গত রোববার ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। নিজেরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়ে দেন ইচ্ছামতো। ঈদুল আজহার একমাস আগেই বাজারে পেঁয়াজের দাম হয়ে যায় আকাশচুম্বী।
গত শনিবার পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ১০০ টাকায় উঠেছিল। রোববার সন্ধ্যায় পর দিন (সোমবার) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবর আসে। সোমবার আইপিও দেওয়া শুরু হওয়ার পরপরই পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। তবে ওইদিন খুচরা বাজারে দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।
বুধবার দেশের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। এর প্রভাবে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৪ টাকায়। তবে পাইকারি বাজারের তুলনায় খুচরা বাজারে দাম কমার প্রবণতা অনেক ধীর।